Showing posts with label সপ্তাহিক জোকস. Show all posts
Showing posts with label সপ্তাহিক জোকস. Show all posts

Saturday, October 16, 2021

"উচিত শিক্ষা হলো মহাজনের (গোপাল ভাড়)"

"উচিত শিক্ষা হলো মহাজনের (গোপাল ভাড়)"




"একবার গোপাল গ্রামের এক মহাজনের কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নিয়েছিল। 
আজ দেব, কাল দেব করে সে টাকা আর শোধ করতে পারেনি। একদিন সেই লোক গোপালকে হাটের মধ্যে পাকড়াও করে বললেন, আমার টাকাগুলো দিয়ে দাও তো গোপাল, নইলে আজ আর তোমায় ছাড়ব না। এই এত লোকের সামনে আজ তোমায় অপমান করব, দেখি তুমি টাকা না দিয়ে কোথা যাও বাছাধন।"

মহাজনের কাছে অপমানিত হয়ে গোপাল বলল, টাকা কি দেব না বলেছি নাকি? আপনার টাকা আমি আগামীকালই দিয়ে দেব। পরশু সকালেই আমার বাড়িতে চলে আসুন। আমি টাকা শোধ করে দেব। সামান্য টাকার জন্য এত অপমান! আসুন পরশু আমার বাড়ি, যে করেই হোক আপনার টাকা আমি পরিশোধ করার ব্যবস্থা করবই।

গোপালের কথা শুনে মহাজন মনে মনে ভাবলেন গোপাল যখন এত লোকের সামনে কথা ছিল তখন পরশু দিন যেভাবেই হোক টাকা পরিশোধ করবেই। এই ভেবে পরমু মহাজন গোপালের বাড়িতে গিয়ে হাজির হল। কই হে গোপাল টাকা দেবে বলেছিলে দাও, আমি ঠিক সময় মত এসেছি। মহাজনের ডাক শুনে গোপাল বাড়ির বাইরে বেরিয়ে এসে বলল, কাকভোরে ছুটে এসেছেন, দয়া করে বাড়ির দাওয়ায় একটু বিশ্রাম করুন- আমি যত তাড়াতাড়ি পারি আপনার টাকা পরিশোধের ব্যবস্থা করছি। আপনি কষ্ট করে এসেছেন প্রাণের টানে তাতেই আমি কৃতার্থ। আমার বাড়ি আজ পবিত্র হল।   bongo-barta

মহাজন তো এখনই টাকা পাবে ভেবে মনে মনে হাসতে লাগল আর গোপালের বাড়ির দাওয়ায় বসে হাটু দোলাতে লাগল। কিছুক্ষণ পর মহাজন দেখলেন গোপাল আর গোপালের বড় ছেলে, সামনের বড় বাগানে পাঁচ হাত অন্তর নারকেল চারা পুতঁছে। তা দেখে মহাজন গোপালকে অস্থির হয়ে বলল, এ কি করছ গোপাল? আমার যে বেলা হয়ে যাচ্ছে। আরো তো কাজকর্ম আছে আমার। গদিতে যেতে হবে, সকালে উঠেই এসেছি জলখাবারও খাওয়া হয়নি। বাড়িতে লোকজন আসবে, তাড়াতাড়ি কর।

গোপাল নারকেলের চারা পুঁততে পুঁততে বলল, দেখছেন তো চারা পুঁতছি। একটু বসুন না। এখনি হয়ে যাবে পোতাঁ। আপনার টাকার ব্যবস্থা করে তবে আজ জলগ্রহণ করবো। এই দেখুন। করছি কিনা আপনি আর একটু বসে নিজে দেখুন। আপনি অপেক্ষা করুন, হলো বলে। বিশ্বাস না হয় উঠে এসে দেখুন।

কাজ শেষ করে গোপাল কাছে এসে দাড়াঁতেই মহাজন জিজ্ঞেস করলে, সেই থেকে তো বসিয়ে রেখেছো- একটা তামাকও দিলে না, যাক কই টাকা দাও। আমার তাড়া আছে।

গোপাল মুচকি হেসে বলল, এতক্ষণ ধরে তো আপনার টাকা শোধের ব্যবস্থাই তো করলুম মশাই।

তার মানে? তুমি তো এখন নারকেলের চারা পুঁতলে। আমার টাকার ব্যবস্থা করলে কি করে?

গোপাল বলল, এই যে নারকেলের চারা পুঁতলাম তাতে নারকেল গাছ হবে এবং এতগুলো নাকেল গাছে যা ফল হবে তা তো আর কম নয়। দুবছরের নারকেলের টাকায় আপনার সব দায় দেনা শোধ হয়ে যাবেই। আপনাকে যখন কথা দিয়েছি আজই টাকা শোধের ব্যবস্থা করব, তাই ব্যবস্থা করে দিলাম। দুবছরের জন্য নারকেলের ইজরাও আপনাকে দিয়ে এলুম। আর ভাবছেন কেন, ধরুন আপনার টাকা বলতে গেলে নিশ্চিন্তে পেয়েই গেলেন সুদ সমেত।

গোপালের কথা শুনে পাওনাদার হাসবে না কাঁদবে ভাবতে ভাবতে শেষ পর্যন্ত বেচারা হেসেই ফেলল।

গোপাল বলল, এখন কি না টাকাটা নগদ পেয়ে গেলেন বলে হাসি আর ধরে না যে দাদার।

লেখা: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

প্রিয় পাঠক, আপনিও অংশ নিতে পারেন আমাদের এ আয়োজনে। আপনার মজার (রম্য) গল্পটি পাঠিয়ে দিন robiahammed12321@gmail.com ঠিকানায়। লেখা মনোনীত হলেই যেকোনো শুক্রবার প্রকাশিত হবে।

Saturday, October 9, 2021

সপ্তাহের রসালাপ: এডিসনের কিছু মজার ঘটনা

সপ্তাহের রসালাপ: এডিসনের কিছু মজার ঘটনা


টমাস আলভা এডিসনের কথা তো আমরা সবাই জানি। তিনি ছিলেন বিখ্যাত বিজ্ঞানী। ছেলেবেলা থেকেই তিনি কৌতূহলী মন নিয়ে বেড়ে উঠেছিলেন। মাত্র পাঁচ-ছয় বছর বয়স থেকেই বিশ্বখ্যাত এ বিজ্ঞানী জন্ম দিয়েছেন মজার মজার সব কাণ্ড-কারখানা। এমন কিছু ঘটনা অনেকেরই জানা। সেসব থেকেই কিছু তুলে ধরা হলো—

ছোটবেলায় তিনি ভাবলেন, হাঁস যদি ডিম থেকে বাচ্চা ফোটাতে পারে; তবে মানুষ কেন পারে না? এমন কৌতূহল নিয়ে তিনি একবার হাঁসের খাঁচায় ঢুকে বসে ছিলেন চুপচাপ। হাঁস কীভাবে ডিম থেকে বাচ্চা ফোটায় সেটাই দেখছিলেন নিবিড়ভাবে। সেই শৈশবেই তাঁর অকাট্য যুক্তি ছিল এমন, হাঁসের নিচে ডিম রাখলে তা থেকে বাচ্চা বের হলে আমার পেট থেকে কেন হবে না?

টমাস আলভা এডিসন ছিলেন খুব ভুলোমনা, কোনো কিছুই মনে রাখতে পারতেন না। তখন তিনি বেশ টাকাওয়ালা মানুষ। গেলেন ট্যাক্স অফিসে রিটার্ন জমা দিতে। গিয়ে নিজের নাম লিখতে গিয়ে পড়েছেন বিরাট বিপদে। কিছুতেই নিজের নাম মনে করতে পারছেন না। তিনি দিব্যি নিজের নামটাই ভুলে বসে আছেন। বসে বসে চুল ছিড়ছেন আর দাঁত কিড়মিড় করছিলেন। হঠাৎ প্রতিবেশীর সঙ্গে দেখা, ‘কী ব্যাপার টমাস, কী করো এখানে?’ মুহূর্তেই মনে পড়ে গেলো নিজের নাম।

একবার তিনি কাজ করছিলেন ল্যাবরেটরিতে। তার খেয়াল চাপলো হেলিকপ্টার বানাবেন, আর জ্বালানি হিসেবে থাকবে বারুদ। তিনি কোনো কিছু না ভেবে যেই চিন্তা সেই কাজ শুরু করে দিলেন। একটি নমুনা বানিয়ে যেই চালাতে গেলেন, সঙ্গে সঙ্গে বুম! পুরো ল্যাবরেটরিতে আগুন ধরে গেলো। পড়ি কি মরি, কোনোমতে বের হয়ে প্রাণ বাঁচালেন!

প্রথাগত ভোজসভা এড়িয়ে চলতেন এডিসন। একবার চাপে পড়ে একটি ডিনার পার্টিতে যেতে হলো তাকে। একপর্যায়ে এতটাই অসহ্য লাগল যে, চুপচাপ কেটে পড়বেন বলে মনস্থির করলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে, ঠিক বেরিয়ে যাওয়ার মুখেই বাড়ির মালিকের মুখোমুখি হয়ে গেলেন।

ভদ্রলোক উচ্ছসিত কণ্ঠে বললেন, ‘আপনাকে এই পার্টিতে পাওয়া একটি অসাধারণ ব্যাপার মি. এডিসন। তা এখন আপনি কোন প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করছেন?’ শুষ্ক কণ্ঠে জানালেন এডিসন, ‘এখান থেকে কীভাবে বেরিয়ে যাওয়া যায় তার ওপর!’

লেখা: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

প্রিয় পাঠক, আপনিও অংশ নিতে পারেন আমাদের এ আয়োজনে। আপনার মজার (রম্য) গল্পটি পাঠিয়ে দিন robiahammed12321@gmail.com ঠিকানায়। লেখা মনোনীত হলেই যেকোনো শনিবার প্রকাশিত হবে আপনার প্রিয় পত্রিকা